Logo
×

Follow Us

প্রবাস খবর

ভারতীয় তরুণকে মেঝেতে ফেলে হাতকড়া পড়ানো হলো মার্কিন বিমানবন্দরে

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৫, ১৮:১৪

ভারতীয় তরুণকে মেঝেতে ফেলে হাতকড়া পড়ানো হলো মার্কিন বিমানবন্দরে

নিউইয়র্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ভারতীয় তরুণকে মাটিতে শুইয়ে হাতকড়া পরানো হয়েছে।

নিউ জার্সির নিউইয়র্ক লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ভারতীয় তরুণকে মাটিতে শুইয়ে হাতকড়া পরানোর একটি দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নিউইয়র্কে অবস্থিত ভারতের কনস্যুলেট অফিস। তারা জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে তারা যোগাযোগ করেছে, যদিও এখনো তদন্তের অগ্রগতি বা বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।

ঘটনার ভিডিওটি শেয়ার করেন কুনাল জৈন নামের এক অনাবাসী ভারতীয়। ভিডিওতে দেখা যায়, দুই পুলিশ কর্মকর্তা তরুণটিকে জোরপূর্বক মাটিতে ফেলে পেছন দিক থেকে হাতকড়া পরিয়ে নিচ্ছেন। কুনালের দাবি, তরুণটি সম্ভবত ভারত ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ায় ছিলেন এবং আচরণে মনে হচ্ছিল তিনি আতঙ্কিত ও ভীত। তরুণটির পরনে ছিল কালো পোশাক এবং তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন।

ভিডিওর সঙ্গে দেওয়া মন্তব্যে কুনাল লেখেন, “তরুণটি আমেরিকায় একটি ভালো ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন। কোনো অপরাধ না করেও তাকে যেভাবে অপমানিত করা হলো, তা মেনে নেওয়া যায় না। একজন অনাবাসী ভারতীয় হিসেবে নিজেকে অসহায় লাগছিল।” তিনি আরও বলেন, “এই ছেলেটির মা–বাবা হয়তো জানতেই পারবেন না, তাঁর সঙ্গে কী ঘটেছে। সে আমারই ফ্লাইটে উঠার কথা ছিল, কিন্তু তাকে বোর্ডিংয়ের আগেই ধরে ফেলা হয়।”

ভিডিওতে দেখা যায়, তরুণটিকে আটকানো কর্মকর্তারা ‘পোর্ট অথরিটি পুলিশ’ ইউনিফর্মে ছিলেন। এই সংস্থাটি নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সি অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ যাতায়াত কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা ও আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করে।

প্রবেশ এবং অভিবাসন সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সময় থেকে এর কঠোরতা আরও বেড়েছে। বেশ কয়েকজন ভারতীয় নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানোর সময় তাদের সঙ্গে অপরাধীদের মতো আচরণ করা হয়েছে—কখনো কখনো বিমানে হাতকড়া ও পায়ে বেড়িও পরানো হয়। অতীতে এ নিয়ে বিতর্ক ও প্রতিবাদ উঠলেও ভারত সরকারের পক্ষ থেকে খুব একটা কড়া অবস্থান দেখা যায়নি। সংসদে প্রশ্ন উঠলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ আইন বলে উল্লেখ করেন।

তবে কুনাল জৈন তাঁর শেয়ার করা ভিডিও ও মন্তব্যে প্রশ্ন তুলেছেন—এই ধরনের প্রত্যাবাসন কি আরও মানবিকভাবে সম্পন্ন করা যেত না? ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ভারতীয় কনস্যুলেট নজর দিয়েছে বিষয়টির ওপর, তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা তরুণটির পরিচয় কিংবা ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি।


Logo