Logo
×

Follow Us

দেশের খবর

মগবাজারে স্ত্রী পুত্রসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৫, ১৯:৫৫

মগবাজারে স্ত্রী পুত্রসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজারে এক প্রবাসী, তার স্ত্রী ও সন্তান রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। রোববার সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনজনকেই হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু ঘটে। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা বিষয়টিকে খাদ্যে বিষক্রিয়া হিসেবে সন্দেহ করছেন।

নিহতরা হলেনসৌদি প্রবাসী মনির হোসেন (৪৮), তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার স্বপ্না (৩৮) এবং তাদের ছেলে নাঈম হোসেন (১৮)। পরিবারটির গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা গ্রামে।

মনির হোসেন তার ছেলের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন। পরিবারটি মগবাজারের ‘সুইট স্লিপ’ নামের একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছিল। শনিবার বিকেলে ঢাকায় এসে তারা আদ্-দ্বীন হাসপাতালে এক চিকিৎসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং রাতে হোটেলে ফিরে যান। এরপর রাতে মগবাজারের একটি স্থানীয় খাবারের দোকান ‘ভর্তা-ভাত’-এ খাবার গ্রহণ করেন।

পরদিন সকালে পরিবারের সদস্যদের বমি বমি ভাব দেখা দিলে মনিরের চাচা মো. রফিক তাদের দেখতে আসেন। এক পর্যায়ে ফার্মেসির এক কর্মী ডেকে এনে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদের আদ্-দ্বীন হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনজনকেই রক্ষা করা যায়নি।

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক জানান, ঘটনাস্থল থেকে ভর্তা-ভাত হোটেলের খাবারের প্যাকেট, বমির ওষুধ এবং অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি হোটেল ও আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ের জন্য মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

‘সুইট স্লিপ’ হোটেলের সহকারী ম্যানেজার আব্দুল মানিক জানান, পরিবারটি শনিবার বিকেলে হোটেলে ওঠে। তাদের সঙ্গে একজন কেয়ারটেকার ছিলেন, যিনি তাদের দেখাশোনা করতেন এবং বিভিন্ন হোটেল থেকে খাবার এনে দিতেন। অসুস্থতার ব্যাপারে হোটেলকর্মীরা প্রথমে কিছু জানতে পারেননি। পরে কেয়ারটেকার একজনকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় বিষয়টি প্রকাশ পায়।

চিকিৎসকদের ধারণা অনুযায়ী, খাদ্যে বিষক্রিয়াই এই মৃত্যুর পেছনে কারণ হতে পারে। তবে এটি দুর্ঘটনা না অন্য কোনো উদ্দেশ্যমূলক ঘটনা, তা নির্ধারণে এখন তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব হবে।

Logo