Logo
×

Follow Us

প্রবাস খবর

পোল্যান্ডে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাজনীতির শিকার অভিবাসীরা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ মে ২০২৫, ২০:০২

পোল্যান্ডে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাজনীতির শিকার অভিবাসীরা

পোল্যান্ডের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হতে অভিবাসী বিরোধী অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ডানপন্থি এবং কট্টর-ডানপন্থি রাজনীতিকেরা অভিবাসীদের টার্গেট করে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, যা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমান ইউরোপপন্থি সরকারের অভিবাসন নীতির বিরোধিতা করছেন তারা, বিশেষ করে অভিবাসন ইস্যুতে সরকারের কঠোর অবস্থান নিয়ে।

আগামী ১৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জনমত জরিপে দেখা গেছে, দেশটির জাতীয়তাবাদী ‘ল অ্যান্ড জাস্টিস’ (পিআইএস) পার্টির প্রার্থী ক্যারল নাভরকি এবং কট্টর ডানপন্থি কনফেডারেশন পার্টির প্রার্থী স্লাভোমির মেন্তজেন, বর্তমান সরকারের সমর্থক ওয়ারশ শহরের মেয়র রাফাল চাস্কোভস্কির থেকে জনপ্রিয়তায় পিছিয়ে আছেন। তবে নির্বাচনী প্রচারে অভিবাসনবিরোধী প্রচারণার মাধ্যমে তারা নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন।

ভুয়া তথ্যের প্রচার:

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক ভুয়া ভিডিও এবং বিকৃত ছবি ছড়ানো হচ্ছে। একটি ভিডিওতে দাবি করা হয় যে, জার্মান পুলিশ পোল্যান্ড সীমান্তে এক অভিবাসীকে ফেরত পাঠাচ্ছে, কিন্তু পরে জানা যায়, সে ব্যক্তি আসলে একজন পোলিশ গৃহহীন। আরেকটি ভিডিওতে ‘ওয়ারশের রাস্তায় প্রার্থনারত’ একটি দৃশ্য দেখানো হয়েছে, যা আসলে ইটালিতে ধারণ করা হয়েছিল।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পোল্যান্ডে অভিবাসীদের প্রবেশের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়েনি, কিন্তু রাজনৈতিক সুবিধা হাসিল করতে কিছু পক্ষ এই ভুল তথ্য ছড়িয়ে গণমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।

প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টুস্কের নেতৃত্বে পোল্যান্ডের ইউরোপপন্থি সরকার, অভিবাসন নীতিতে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ২০২৪ সালের মে মাসে বেলারুশ সীমান্তে ২০০ মিটার ‘বাফার জোন’ পুনরায় চালু করে, এবং জুলাই মাসে সীমান্তরক্ষীদের আত্মরক্ষায় গুলি কারার অনুমতি দেয়। পরে ২০২৫ সালের মার্চে এক নতুন আইনে অভিবাসন সুরক্ষা আবেদন কিছু সময়ের জন্য স্থগিত করার অনুমতি দেয়।

এছাড়াও, গত কয়েক মাসে সাতটি দেশের নাগরিকদের পোলিশ সীমান্ত অতিক্রম না করার বিষয়ে সতর্কতা জারি করে ইউরোপপন্থি সরকার। যার প্রেক্ষাপটে ডানপন্থি রাজনৈতিক দলগুলো আগামী ১০ মে ওয়ারশোতে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে, যা জনমনে আরও আতঙ্ক সৃষ্টি করার লক্ষ্যে করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের মতামত:

রাজনৈতিক বিশ্লেষক কাতারজিনা বাকোভিচ বলেছেন, “এই প্রচারণার মূল লক্ষ্য হলো জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা, যাতে সেটিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যায় এবং ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়।” তিনি আরও বলেন, "এ ধরনের বিভ্রান্তি জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে, যা নির্বাচনী ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে।"

Logo