বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি হারাবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:০৮

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ডোনাল্ড ট্রাম্প
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি হারানোর হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের (ডিএইচ্) সচিব ক্রিস্টি নোম জানিয়েছেন, কিছু বিদেশি শিক্ষার্থীর তথ্য সরবরাহ না করলে, বিশ্ববিদ্যালয়টি এ অনুমতি হারাতে পারে।
বুধবার এক ঘোষণায় নোম বলেন, হার্ভার্ডকে ২৭ লাখ ডলারের দুটি অনুদান বাতিল করা হয়েছে এবং ৩০ এপ্রিলের মধ্যে কিছু শিক্ষার্থীর ‘অবৈধ ও সহিংস কার্যকলাপ’-সংক্রান্ত তথ্য সরকারের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যদি হার্ভার্ড যথাযথভাবে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান না করে এবং নিয়ম মেনে না চলে, তবে তাদের বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার সুবিধা বাতিল করা হবে।’
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে সচেতন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি ট্রাম্প প্রশাসনের আগের পদক্ষেপের একটি অংশ, যেখানে তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনুদান কাটছাঁটের হুমকি দিয়েছিল। বিশেষত, ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে এমন চাপ সৃষ্টির কথা বলা হয়েছিল।
এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যেই কিছু ফিলিস্তিনপন্থী বিদেশি ছাত্রের ভিসা বাতিল করেছে এবং তাদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই কঠোর অবস্থান আসে এমন এক সময়, যখন যুক্তরাষ্ট্রে গাজা ইস্যুতে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ চলছে। এর আগে এই ধরনের বিক্ষোভের জেরে ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুদান হ্রাসের হুমকি দেয়।
ট্রাম্প এই আন্দোলনকারীদের ইসরায়েলবিরোধী, ইহুদিবিদ্বেষী এবং হামাসের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে অভিহিত করেন। অন্যদিকে আন্দোলনকারীরা বলছেন, তারা ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে এবং গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। তারা অভিযোগ করেন, তাদের অবস্থানকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
ক্রিস্টি নোম বলেন, ‘হার্ভার্ডের তহবিল ৫ হাজার ৩২০ কোটি ডলার। তারা যদি নিজেদের তৈরি করা বিশৃঙ্খলা সামলাতে না পারে, তবে সেটার খরচ সরকার বহন করবে না।’ তার মতে, হার্ভার্ডে ‘যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ও হামাসপন্থী চেতনা’ বাড়ছে।