ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার ছামাদ মিয়ার মেয়ে তিষা আক্তারের। বিয়ের পর পরিবারের আর্থিক অবস্থা চিন্তা করে স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষ্যে স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন সদ্য বিবাহিত তিষা। তবে সুখ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামীর সঙ্গে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। একপর্যায়ে স্বামী তাকে নিয়ে সংসার করতে অস্বীকৃতি জানায়।

এই দুঃসময়েও হাল ছাড়েননি তিষা। গার্মেন্টসের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ঘরে ফেরার পথে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় পায়ে মারাত্মক আঘাত পান তিনি। চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে না পারায় অবস্থা আরও জটিল হয়। এর মধ্যেই স্বামী তাকে তালাক দিয়ে দেয়। বাবার সংসারে ফিরে এলেও তিষার চিকিৎসার খরচ চালানো সম্ভব হয়নি পরিবারের পক্ষে।

ঠিক এমন সময়, তিষার জীবনে আশার আলো হয়ে এগিয়ে আসেন প্রবাসী মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসাইন। ইলিয়াস হোসাইন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তিষার চিকিৎসার জন্য তুলে দেয় ৫ হাজার টাকার নগদ সহায়তা। 

তিষার পরিবার জানায়, “এ সহায়তা আমাদের জন্য বড় আশীর্বাদ। আমরা ইলিয়াস হোসাইনের প্রতি কৃতজ্ঞ। এমন সহায়তা আমাদের মতো অসহায় মানুষের জন্য একটুকু আলো।”