ছবি: সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য প্রধান গন্তব্যগুলো হলো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান ও কাতার। এই দেশগুলোতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি। সৌদি আরবে তেল ও গ্যাস শিল্প, নির্মাণ, স্বাস্থ্যসেবা এবং পরিষেবা খাতে দক্ষ কর্মীদের চাহিদা বেশি। কুয়েতে তেল ও গ্যাস, নির্মাণ, স্বাস্থ্যসেবা এবং পরিষেবা খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কোন ভিসার কেমন দাম।
কুয়েত: কুয়েতে ওয়ার্ক ভিসার খরচ ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার মধ্যে হতে পারে। তবে আবেদন প্রক্রিয়া এবং ভিসার ধরন অনুযায়ী এই খরচ কিছুটা বাড়তে বা কমতে পারে।
কাতার: কাতারে ৩০ দিনের ট্যুরিস্ট ভিসার ফি প্রায় ১০০ কাতারি রিয়াল, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২,৩০০ টাকা। কাতারের ওয়ার্ক ভিসার ফি সাধারণত নিয়োগকর্তা প্রতিষ্ঠান বহন করে। তবে, কিছু ক্ষেত্রে প্রার্থীকে মেডিকেল পরীক্ষা ও অন্যান্য খরচ বহন করতে হতে পারে।
সৌদি আরব: সৌদি আরবে গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ফি কমানো হয়েছে। বাংলাদেশসহ ৬টি দেশের গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে এই ফি কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত সংশোধিত ফি বাংলাদেশের জন্য ১৩ হাজার থেকে ১১ হাজার ৭৫০ রিয়েল করা হয়েছে। টাকার মান অনুযায়ী এই হিসাবটি দাঁড়ায় ৩ লাখ ৮০ হাজার ৩৮০ থেকে ফি কমিয়ে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৮০৫ করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে বাংলাদেশি গৃহকর্মীরা ভিসা নিয়ে ৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকায় সৌদি আরব যেতে পারবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত: সংযুক্ত আরব আমিরাতে ওয়ার্ক ভিসার খরচ বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন নিয়োগকর্তা, কাজের ধরন, এবং ভিসা প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতি। বাংলাদেশ থেকে সরকারি প্রক্রিয়ায় দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে আনুমানিক ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি বা মধ্যস্বত্বভোগীর মাধ্যমে ওয়ার্ক ভিসা পেতে খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে, যা ৬ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

