
ওমান সরকার দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাসরত প্রবাসীদের জন্য ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার আওতায় বৈধতা ফিরে পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে বহু বছর ধরে অনিয়মিত অবস্থায় থাকা অভিবাসীরা বৈধভাবে অবস্থানের নতুন পথ পাচ্ছেন। চলমান এই প্রক্রিয়া ৩১ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
ওমান দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের কর্মজীবী মানুষের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য হিসেবে পরিচিত। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ৮ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি রয়েছেন, যাদের মধ্যে একটি অংশ বিভিন্ন কারণে বৈধতার বাইরে চলে গিয়েছিলেন। সরকারের এ ঘোষণায় তাদের মাঝে আশার সঞ্চার হয়েছে।
প্রবাসী বাংলাদেশি মোহাম্মদ রফিকুল্লাহ জানান, বহু প্রবাসী রয়েছেন যারা ১০ থেকে ১৮ বছর ধরে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় চরম অনিশ্চয়তায় কাটাচ্ছিলেন। এবার তাদের জন্য নতুন করে বৈধতা অর্জনের সুযোগ এসেছে। বিশেষ করে যেসব ব্যক্তি ব্ল্যাকলিস্টে ছিলেন, তারাও এই সাধারণ ক্ষমার আওতায় আবেদন করে আবারও বৈধ ভিসা পেতে পারেন।
এদিকে ওমানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, এই সাধারণ ক্ষমা কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। দূতাবাস থেকে জানানো হয়, প্রবাসীদের দ্রুত পাসপোর্ট নবায়ন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুতের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান, “যারা সাধারণ ক্ষমার সুবিধা নিতে চান, তাদের জন্য দূতাবাসে আলাদা ডেস্ক চালু করা হয়েছে। এতে করে প্রবাসীরা সহজেই সেবা নিতে পারছেন।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবাসীদের এ ধরনের সুযোগ কর্মসংস্থান, রেমিট্যান্স এবং বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা এখনও এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হননি, তাদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।