‘বোন’ বানিয়ে নিয়ে গেল দুবাই, তারপর শুরু হলো নরকযন্ত্রণা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০০:১৩
বোনের মতো সম্পর্ক গড়ে চাকরির প্রলোভনে এক তরুণীকে দুবাই নিয়ে গিয়েছিলেন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার প্রবাসী মোহাম্মদ বাহার উদ্দিন। কিন্তু সেখানে পৌঁছে রাতারাতি পাল্টে যায় তার রূপ। নির্জন এক বাড়িতে আটকে রেখে তরুণীর সঙ্গে চালান পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণ।
ঘটনার শুরু ২০২৩ সালে
বাগেরহাট জেলার ওই তরুণীর সঙ্গে অনলাইনে পরিচয় হয় প্রবাসী বাহার উদ্দিনের। প্রথমে শুরু হয় স্বাভাবিক আলাপচারিতা, পরে গড়ে ওঠে এক ভাই-বোনের মতো সম্পর্ক। সেই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়েই চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে নিয়ে যান দুবাই।
সেখানে পৌঁছানোর পর কাজের বদলে তাকে রাখা হয় এক নির্জন বাড়িতে। রাত নামতেই শুরু হয় নির্যাতন। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস ধরে তাকে রক্ষিতা বানিয়ে রাখে বাহার উদ্দিন।
গর্ভবতী হওয়ার পর দেশে ফেলে পালিয়ে যায় প্রবাসী
নির্যাতনের একপর্যায়ে তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। এরপর বিয়ের আশ্বাসে দেশে ফেরানো হয় তাকে। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পরই বাহার উদ্দিন গাড়িতে তুলে দিয়ে পালিয়ে যান।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, “আমার মতো আরও অনেক মেয়েকে এভাবে প্রতারণা ও নির্যাতন করেছে বাহার উদ্দিন। এখন আমি আমার সন্তানের পিতৃপরিচয় চাই।”
বিশেষজ্ঞদের মতামত
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নারী পাচারের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। বিদেশে গিয়েও অনেক নারী শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অনেকেরই দেশে ফেরার পথ বন্ধ হয়ে যায়।
তাদের মতে, সরকারের উচিত নারী প্রবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বিদেশে পাঠানোর আগে কঠোর যাচাই-বাছাই ও সচেতনতা বাড়ানো।

